এর আগে আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডসের কোয়ার্টার-ফাইনালে মাঠের লড়াই যেমন উত্তেজনা ছড়ায়, তেমনি দুই দলের খেলোয়াড়দের মাঝে বিতণ্ডা লেগে যাওয়ার ঘটনাও দেখা যায়। বেশ কয়েকবার তৈরি হয় উত্তপ্ত পরিস্থিতি। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সেমি-ফাইনালের আগে ক্রোয়েশিয়া কোচ জ্লাতকো দালিচের আশা, এবার যেন তেমন কিছু আর না ঘটে। লুসাইল স্টেডিয়ামে গত শুক্রবারের ওই ম্যাচে শেষ দিকে দুটি গোল শোধ করে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নেয় নেদারল্যান্ডস।
এ সময় আর্জেন্টিনার বেঞ্চের খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফরা মাঠে ঢুকে পড়েন। টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার জয়ের পর মাঠে আরও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় দুই দলের মাঝে। ম্যাচ চলাকালে কিংবা শেষে দুই দলের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ মিলিয়ে মোট ১৬টি হলুদ কার্ড ও একটি লাল কার্ড দেখান স্প্যানিশ রেফারি আন্তোনিও মাতেও লাওফ। পুরো ম্যাচে তার কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েও দুই দল অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে। পরে দুই দলের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনে ফিফা।
এদিকে স্পট-কিকে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোল করার পর মেসি অন্যরকম উদযাপন করেন নেদারল্যান্ডসের ডাগআউটের সামনে গিয়ে, যেখানে বসা ছিলেন দলটির কোচ লুই ফন খাল। ম্যাচের পর সাবেক বার্সেলোনা কোচের দিকে আঙুল তুলেও কথা বলতে দেখা যায় আর্জেন্টিনা অধিনায়ককে। ডাচদের দুটি গোল করা ভঠ ভেহর্স্টকে ‘বোকা’ বলে সম্বোধন করেন তিনি।
খেলা চলাকালীন নেদারল্যান্ডসের কিছু খেলোয়াড় আর্জেন্টাইনদের উস্কে দিয়েছিল। আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা আবার পেনাল্টি শুটআউটে জয়ের পর ডাচদের ব্যঙ্গ করে সেটির জবাব দেয়। সব মিলিয়ে উত্তেজনার পারদ ছিল তুঙ্গে। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচ শেষে দালিচের সঙ্গে করমর্দনে অস্বীকৃতি জানান তখনকার আর্জেন্টিনা কোচ হোর্হে সাম্পাওলি।
এবার টুর্নামেন্টের ফেভারিটদের একটি ব্রাজিলকে কোয়ার্টার-ফাইনালে টাইব্রেকারে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার সেমি-ফাইনালে উঠছে ক্রোয়াটরা। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে গতবারের রানার্সআপরা। গতকাল দালিচ বলেন, চার বছর আগের ঘটনায় কোনো ক্ষোভ নেই তাদের।
তিনি বলেন, “আমি বুঝতে পারছি, তখন (২০১৮ সালে) অনেক বিষয় জড়িত ছিল, প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। এরকমটা হয়ে থাকে। আমাদের কোনো ক্ষোভ নেই। আমি আবেগের বশে কারো ওপর রাগ করি না। ফুটবলের বাইরের অনেক বিষয়ের কারণে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আর্জেন্টিনাও আগ্রাসী হয়ে উঠেছিল। আশা করি, কাল (মঙ্গলবার) এমন কিছু হবে না।” তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নেইমারকে রুখে দিয়েছি সুতরাং মেসিকেও আটকাতে পারবো।’
