ম্যাচের আগে লড়াইটা শুরু করেছিলেন নেদারল্যান্ডসের কোচ লুইস ফন গল। সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসির মনোসংযোগ নষ্ট করতেই কিনা তিনি বলে বসলেন, ‘আর্জেন্টিনার পায়ে বল না থাকলে মেসি কিছুই করেন না।’

ফন গল যে এবারই এমনটি করলেন তা কিন্তু নয়। ২০১৪ বিশ্বকাপে মেসিকে আটকাতে ভিন্ন কৌশল বেছে নিয়েছিলেন। সেই বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস। মেসিকে ডাচ রক্ষণে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। আর্জেন্টাইন জাদুকরের পেছনে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল নাইজেল ডি ইয়াংকে। পুরো ম্যাচে ব্যর্থ ছিলেন মেসি। সেই কৌশলই এবারও নিতে চেয়েছিলেন ফন গল। কিন্তু সেটি এবার বুমেরাং হয়েছে। মেসি দুর্দান্ত খেলেছে পুরো ম্যাচে। শেষ অবধি ম্যাচটি জিতে নিয়েছে টাইব্রেকারে।

কিন্তু ফন গলের সংবাদ সম্মেলনে বলে যাওয়া কথা ভালোভাবে নেননি মেসি। তিনি যে তেতে ছিলেন সেটি ম্যাচ শেষে তার উদ্যাপনেই বোঝা যাচ্ছিল সেই বিষয়টি। দুই কানে হাত দিয়ে এভাবে উদ্যাপন করতে কবে, কে দেখেছেন মেসিকে! ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াসি স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলছিলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। সাক্ষাত্কার শুরুর আগমুহূর্তে ডাচ ফরোয়ার্ড ভাউট ভোগহোর্স্টকে ধমক দেন মেসি।

ম্যাচে ৩৫ মিনিটে মন্টিয়েলের গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ৭৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে আরো এক গোল করেন মেসি। এরপর ৮৩ মিনিট এবং যোগ করা সময়ে নেদারল্যান্ডসকে সমতায় ফেরান ভোগহোর্স্ট। অতিরিক্ত সময়েও গোল না হওয়ায় ম্যাচটি টাইব্রেকারে গড়ায়।

টিওয়াসি স্পোর্টসের কাছে ভোগহোর্স্টকে কেন ধমক দিয়েছেন তার ব্যাখ্যা দেন মেসি, ‘১৯ নম্বর জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় মাঠে নামার পর বাজে কথা বলেছে। সবসময় আমি সবাইকে সম্মান করি। ওরাও আমাকে সম্মান করে। মাঠে অনেক উত্তেজনাকর মুহূর্ত ছিল এবং সেটি মাঠেই রেখে এসেছি।’

শান্ত স্বভাবের মেসি হঠাৎ কেন অশান্ত হয়ে উঠলেন—এ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। তবে যাকে ধমক দিয়েছিলেন মেসি, সেই ভোগহোর্স্ট এবার বলেছেন তার সঙ্গে মেসি বাজে আচরণ করেছেন। তার দাবি ম্যাচ শেষে মাঠেই রাগান্বিত হয়েছিলেন মেসি, ‘আমি ম্যাচ শেষে তার সঙ্গে হাত মেলাতে গিয়েছিলাম, সে হাত মেলায়নি। আমাকে কঠিন সব কথা বলেছে। সে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। স্প্যানিশ সম্পর্কে আমার খুব একটা জানাশোনা নেই। আমি খুবই হতাশ হয়েছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x