আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ জানিয়েছেন, আবেগ ও হৃদয় দিয়েই বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে তারা। নানা সমস্যায় জর্জরিত আর্জেন্টাইনদের কিছুটা আনন্দ উপহার দিতে পেরে দারুণ উচ্ছ্বসিত তিনি। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে।

কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়ের অন্যতম নায়ক মার্টিনেজ। নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে সমতা থাকায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তবে সেখানেও ফলাফল আসেনি। এতে দুই দলের ভাগ্য নির্ধারণে টাইব্রেকারের শরণাপন্ন হন রেফারি।

পেনাল্টি শুটআউটে নেদার‌ল্যান্ডসের প্রথম দুই শট রুখে দেন মার্টিনেজ। এতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত ৪-৩ গোলে জয়ী হয়ে সেমিফাইনালে টিকিট কাটেন লিওনেল মেসিরা। আগামী মঙ্গলবার সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া।

মার্টিনেজ বলেন, আমরা সেমিফাইনালে উঠেছি। কারণ আমাদের মধ্যে আবেগ ও হৃদয় আছে। এই মুহূর্তে ভীষণ আনন্দিত আমরা। খুশি দেশের মানুষও।

তিনি বলেন, প্রথমত বিষয়টি বলব, সেটি হলো আবেগ। ৪৫ মিলিয়ন মানুষের জন্য এটা করেছি আমি। আমাদের দেশের আর্থিক পরিস্থিতি খুব ভালো নেই। এ দুঃসময়ে আর্জেন্টাইনদের জয় উপহার দিতে পারাটা সবচেয়ে স্বস্তির।

স্প্যানিশ রেফারি অ্যান্তনিও মাতেও লাহোচের সমালোচনা করে এ বাজপাখি বলেন, উনি খুবই আগ্রাসী ছিলেন। তার সঙ্গে কোনও কথা বলতে গেলে বাজেভাবে উত্তর দিয়েছেন। ১০ মিনিট ইনজুরি টাইম দিয়েছেন। সেই সঙ্গে নেদারল্যান্ডের পক্ষে সব ফ্রি-কিক দিয়েছেন।

তিনি দাবি করেন, ইতোমধ্যে বিশ্বকাপ থেকে স্পেন বাদ পড়েছে। তাই অ্যান্তনিও চেয়েছেন যেন আমরাও বিদায় হই। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার শেষ ষোলোর ম্যাচে মরক্কোর কাছে পরাজিত হয়ে দেশে ফেরেন স্প্যানিয়ার্ডরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x