টাইব্রেকারে সব আলো যেন একাই কেড়ে নিলেন আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। দুটো পেনাল্টি ঠেকিয়ে শুধরে নিলেন দুই গোল হজম করার ভুল। একই সঙ্গে আর্জেন্টিনাকে নিয়ে গেলেন কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। এমিলিয়ানোর মতে, আর্জেন্টাইনদের হৃদয় আছে বলেই তারা শেষ চারে। গত ২০১৪ বিশ্বকাপে এভাবেই টাইব্রেকারে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ফাইনালে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা।

সেদিন নায়ক ছিলেন সের্হিও রোমেরো, আজ এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ডাচদের হয়ে প্রথম দুটি পেনাল্টি নিতে আসা ভার্জিল ফন ডাইক ও স্টিভেন বার্গুইসের শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। যার ফলে টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানের জয় পায় আলবিসেলেস্তেরা। টাইব্রেকারের সময় বিশ্বের বাঘা বাঘা গোলরক্ষকরা স্নায়ুচাপে ভুগেন।

কিন্তু মার্তিনেসকে দেখে ঘুণাক্ষরেও তেমনটা মনে হয়নি। টগবগে আত্মবিশ্বাস নিয়ে ধরাশায়ী করেন ডাচদের। সেই মুহূর্ত নিয়ে এমিলিয়ানো বলেন, ‘প্রথম যেই জিনিসটা আমাদের মাথায় আসে সেটা হলো আবেগ। আমি সাড়ে ৪ কোটি মানুষের জন্য খেলি। মানুষকে এভাবে আনন্দ দেওয়াটা এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় কাজ। আমরা সেমিফাইনালে কারণ আমাদের আবেগ ও হৃদয় আছে। অন্য সবার মতো আমরাও রোমাঞ্চিত।’

এদিকে আর্জেন্টিনার হয়ে শেষ পেনাল্টি নিতে আসেন লাউতারো মার্টিনেজ। নির্ধারিত সময়ে বেশ কয়েকটি সুযোগ মিস করেছিলেন তিনি। পেনাল্টি মিস করলে ব্যবধান সমান হয়ে যেত দুই দলের। কিন্তু ঠাণ্ডা মাথায় জালে বল ফেলেন মার্তিনেস।

তিনি বলেন, ‘কোপা আমেরিকার মতোই এখানেও আমাকে চূড়ান্ত শটটি দেওয়া হয়। পেনাল্টি স্পটে যাওয়ার সময় আমি খুবই শান্ত ছিলাম কারণ, নিজের কাজের উপর আস্থা আছে আমার।’ তিনি আরও বলেন, ‘রেফারি তাদেরকে (নেদারল্যান্ডসকে) সবকিছু দিয়েছে। কোন কারণ ছাড়াই ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দিয়েছে। তারা যেন সমতায় ফিরতে পারে এটাই সে চেয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x