অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি লিওনেল মেসির জন্য বিশেষ কিছুই ছিল। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে এটি ছিল তাঁর ক্যারিয়ারের হাজারতম ম্যাচ। এই ম্যাচকে ঘিরে সারা দুনিয়ায় তাঁর অসংখ্য ভক্তের মাঝে কতই না উন্মাদনা! অথচ যিনি এই কীর্তি গড়লেন, সেই মেসি নিজেই নাকি জানতেন না এই বিশেষ ম্যাচের কথা। এমনকি এই ম্যাচকে ঘিরে উদ্‌যাপনের বিশেষ কোনো পরিকল্পনাও নেই তাঁর।

সাতবার ব্যালন ডি’অর জয়ী এই তারকা ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘আজকেই জানলাম, এটা আমার হাজারতম ম্যাচ ছিল। আমি আসলে বর্তমানে বাঁচি।’

বিশেষ এই ম্যাচে মেসি তাঁর বা পায়ের জাদু দেখিয়ে দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেছেন। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে নিখুঁত শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। তাঁর এ গোলটিতেও রচনা হয়েছে অনেক রেকর্ড। রেকর্ডের একটি পাতায় ছাপিয়ে গেছেন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে।

বিশ্বকাপে ২১ ম্যাচ খেলে ৮ গোল করেছিলেন ম্যারাডোনা। অন্যদিকে ২৩ ম্যাচে মেসির গোল হলো ৯টি। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলের মালিক হতে মেসির প্রয়োজন দুটি গোল। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে মেসির চেয়ে বেশি গোল আছে শুধু গাব্রিয়েল বাতিস্তুতার, ১০টি।

এত এত অর্জন, অথচ মেসির যেন এসব নিয়ে কোনো ভাবনাই নেই। তাঁর ভাবনার পুরোটা জুড়েই ৩৬ বছর পর ঘরে শিরোপা ফেরানোর দিকে। হাজারতম ম্যাচকে ঘিরে উদ্‌যাপনের বিশেষ কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, এমন প্রশ্নে মেসি বলেছেন, ‘না, একদমই না। ম্যাচটা কঠিন ছিল। দিনটাই আমাদের জন্য কঠিন ছিল। আমরা পর্যাপ্ত বিশ্রামের সুযোগ পাইনি, ক্লান্ত ছিলাম। শারীরিক দিক থেকেও চ্যালেঞ্জিং ম্যাচ ছিল এটি। আমি খুশি, আমরা আরও এক ধাপ সামনে এগোতে পেরেছি।’

কাতার বিশ্বকাপে চার ম্যাচে তিন গোল করলেন মেসি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গোলটি ছিল বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে তাঁর প্রথম গোল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x